সিলেটের ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত এবং উজানের কারণে প্রায় ৪ লাখ মানুষ ভারীভারে প্রভাবিত হয়েছেন। এই বন্যা সময়ে মহানগরের ১৫টি এলাকার ১০ হাজার মানুষ বা তাদের পরিবার পানিবন্দী হয়েছেন। এই তথ্য মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
২০ দিনের মধ্যে সিলেট বন্যায় প্রায় ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৭ মে থেকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এই বন্যার পানি শনিবার (১৫ জুন) মহানগরের বড় অংশই নিমজ্জিত হয়ে গেছিল।
ঈদের দিন সোমবার ভোররাতে সিলেটে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। পাহাড়ি এলাকার উপর এসে বৃষ্টির জল নামে মহানগরের অনেক এলাকা ভেসে যায়। জেলার বিভিন্ন স্থানেও বন্যা পরিস্থিতি সহজেই অবনতি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বৃষ্টি থামলেও মঙ্গলবার ভোররাত থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। উজানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটেছে, যার ফলে সিলেটের সকল নদীর পানি আরও বাড়ে গিয়েছে। এইদিন সারা দিন নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে থাকলেও মঙ্গলবার সকালে ৪টি নদীর পানি ৬ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। বিকালে এসব জায়গায় পানি আরও বেড়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। আর সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.২৮ সে.মি সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন আলোচনায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব গ্রাম ও এলাকার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত।