শিরোনাম

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ইন্টারনেট না গেলে কি সমস্যায় পড়বে ভারতের সেভেন সিস্টার্স

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ দিন আগে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্স-কে ঘিরে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রয়োজন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি এই অঞ্চলকে ইন্টারনেট ট্রানজিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ইন্টারনেট সংযোগের পরিকল্পনা

২০২১ সালে প্রথমবার ভারতের ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশের ট্রানজিট ব্যবহার করে সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট বাংলাদেশের ল্যান্ডিং স্টেশনে পৌঁছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সরবরাহ করা হবে। তবে বিটিআরসি এই প্রকল্প থেকে সরে আসার পর ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং বিকল্প সমাধান

ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ হলেও সেভেন সিস্টার্সের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে তেমন প্রভাব পড়বে না। ভারত ইতোমধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে:

  1. পশ্চিমবঙ্গের দিঘাতে নতুন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে।
  2. সেখান থেকে সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।
  3. উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের মূল ভূখণ্ডের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় ইন্টারনেট সরবরাহ সহজ ও ব্যয়বহুল নয়।

উন্নত অবকাঠামো ও বিনিয়োগ

  • গেল দশকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সড়ক ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
  • টাটা গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে।
  • সফটওয়্যার পার্ক, ড্রোন শিল্প ও অন্যান্য প্রযুক্তিখাতের কেন্দ্রগুলো গড়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ ট্রানজিটের গুরুত্ব

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ ছিল একটি বিকল্প ব্যবস্থা। এটি ব্যবহার করা হলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সহজে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হতো। তবে বিকল্প পরিকল্পনা থাকায় ভারত সমস্যা ছাড়াই প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করতে সক্ষম।

  • বাংলাদেশ
  • ভারত
  •