ভারতের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ১৫.৩ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে পারলে অস্ট্রেলিয়া নেট রানরেটে ভারতকে ছাড়িয়ে যেত। তবে, তারা তা করতে তো পারেনিই, বরং ম্যাচটিই হারিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানেই থেমে যায়।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন রোহিত। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বেশি করতে পারেনি।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ব্যর্থ হন। এই অভিজ্ঞ ওপেনার ৬ বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন। তবে ওয়ার্নারের বিদায় অস্ট্রেলিয়ার রান রেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। শুরু থেকেই ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন। এ দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান সংগ্রহ করে।
মার্শকে ৩৭ রানে আউট করে রানের গতি কমিয়ে দেন কুলদিপ যাদব। চারে নেমে ম্যাক্সওয়েল ভালো শুরু করলেও ১২ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর ট্রাভিস হেড এক প্রান্ত ধরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্ত থেকে কোনো সঙ্গ পাননি। শেষ পর্যন্ত হেড ৪৩ বলে ৭৬ রান করে আউট হন। তার বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। শেষদিকে টিম ডেভিড ও প্যাট কামিন্স কিছুটা চেষ্টা করলেও তা শুধু ব্যবধান কমিয়েছে, জয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুতেই বিরাট কোহলিকে হারায়। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার আসরের শুরু থেকেই অফফর্মে আছেন। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তিনি ছিলেন আসরের সেরা রান সংগ্রাহক, কিন্তু বিশ্বকাপে এসে যেন ছন্দ হারিয়েছেন। আজও কোহলি রান করতে পারেননি, ৫ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তাকে আউট করেছেন জশ হ্যাজলউড।
কোহলি দ্রুত আউট হলেও রোহিত এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই তিনি ১৯ বলে ফিফটি করেন, যা চলমান আসরে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। পাওয়ার প্লেতে রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে কোনো ব্যাটারের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান।
রোহিত এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্তে ঋষভ পান্ত বেশ ভুগেছেন। তিনে নেমে রান করতে তাকে নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৪ বলে ১৫ রান করে আউট হন।
কোহলি এবং পান্তকে হারিয়েও রোহিত সাবলীল ব্যাটিং চালিয়ে যান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি, তবে ১২তম ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৯২ রান, যেখানে তিনি ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা মেরেছেন। তার স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ২২৪।
রোহিতের গড়ে দেওয়া মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের মিডল অর্ডার দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সূর্যকুমার ১৬ বলে ৩১ রান করেন, আর হার্দিক অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ২৭ রান করে।