শিরোনাম

পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৫ দিন আগে
ছবি : সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে। সন্ধ্যার পর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদতে মগ্ন হয়ে এই পবিত্র রাত অতিবাহিত করবেন। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দেশে রাতভর এবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন মুসল্লিরা।

শবে কদর মহান আল্লাহর এক অনন্য দান, যা তার নৈকট্য অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। এটি পাপ মোচন ও অফুরন্ত কল্যাণ লাভের এক বিশেষ রাত, যেখানে নির্ধারিত হয় ভাগ্যের দিকনির্দেশনা।

এই রাতে মসজিদ, বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজেদের গুনাহ মাফ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে গভীরভাবে ইবাদতে নিয়োজিত থাকেন।

পবিত্র কোরআন ও বিভিন্ন হাদিস অনুযায়ী, এই রাতেই কোরআন নাজিল হয়েছিল, যা একে বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছে। আল্লাহ তাআলার অসীম রহমত ও নিয়ামত এই রাতে বর্ষিত হয়, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম হিসেবে গণ্য করা হয়।

এই পবিত্র রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে আগমন করেন এবং আল্লাহর নির্দেশে শান্তি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসেন। ফেরেশতাদের মধ্যে প্রধান জিবরাঈল (আ.)-ও এই রাতে অবতরণ করেন এবং ইবাদতরত মুমিনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সুবহে সাদিক পর্যন্ত আসমানি রহমত ও অনুগ্রহের ঢেউ বয়ে যায়।

সুরা কদরের আয়াতেও বলা হয়েছে:
“এই রাতে ফেরেশতারা এবং রুহ (জিবরাঈল আ.) আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী পৃথিবীতে নেমে আসেন, কল্যাণময় সকল বিষয় নিয়ে। এটি সম্পূর্ণ শান্তির রাত, যা সুবহে সাদিক পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।” (সুরা কদর: ৩-৫)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস ও সওয়াবের প্রত্যাশায় রমজানের রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করা হবে। এবং যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইবাদত করবে, তার আগের সব গুনাহও মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বুখারি: ২০১৪)

এ পবিত্র রাত উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে সবাই ইবাদতে অধিক মনোযোগ দিতে পারেন।