শিরোনাম

লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম, হিজবুল্লাহর ক্ষোভ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৩ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট নাওয়াফ সালামকে লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে নাওয়াফ সালামকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করায় হিজবুল্লাহ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, তিনি প্রধানত বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে বাদ দেওয়ার জন্য কাজ করবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, নাওয়াফ সালামের প্রধানমন্ত্রী হওয়া লেবাননে ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে। কারণ ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করার ফলে আরও চাপে পড়ে। আসাদের পতনের পর হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়ে যায়।

জোসেফ আউনের প্রেসিডেন্ট এবং নাওয়াফ সালামের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মাধ্যমে লেবাননের দীর্ঘ দুই বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য ছিল। এতদিন মন্ত্রিসভা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হতো।

সৌদি আরবের চাপের মুখে লেবাননের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে গত সপ্তাহে জোসেফ আউন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের আলোচনা শুরু হয়।

নাওয়াফ সালাম ইতিপূর্বে দুবার প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং তিনি একজন সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার সুন্নি মুসলিম পরিচয় তাকে এই পদে নির্বাচিত হতে সহায়তা করেছে, কারণ লেবাননে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র সুন্নি মুসলিমদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা হয়।

কিছু সংবাদমাধ্যম নাওয়াফ সালামের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়াকে একটি “সুনামি” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

তবে হিজবুল্লাহ ও তাদের সহযোগী দল আমালের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা। হিজবুল্লাহর সংসদীয় ব্লকের নেতা মোহাম্মদ রাদ বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশে নতুন করে বিভাজনের সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে নতুন মন্ত্রিসভা লেবাননের স্বীকারোক্তিমূলক ক্ষমতা ভাগাভাগির ঐতিহ্যকে সম্মান জানাবে।