শিরোনাম

জিম্মি মুক্তির দাবিতে ইসরাইলে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ দিন আগে
ছবি : সংগৃহীত

গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি চুক্তি সইয়ের দাবিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা কিছুটা অগ্রগতি লাভ করেছে বলে উভয় পক্ষ জানিয়েছে, তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

শনিবার রাতে হাজারো মানুষ হানুক্কার চতুর্থ রাত্রি উদযাপনের পাশাপাশি জিম্মি মুক্তি চুক্তির পক্ষে মিছিল ও দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। মিছিল শুরুর আগে তেল আবিবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকজন জিম্মির পরিবার নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন।

জিম্মি নিমরোদ কোহেনের বাবা ইহুদা কোহেন অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আগ্রহী, যা ইসরাইলের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।

ইহুদা কোহেন ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, “প্রিয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, নেতানিয়াহু আপনাকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধের অবসান এবং সকল জিম্মির মুক্তি ইসরাইলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চাপই হতে পারে সমাধানের পথ। তবে কোনো আংশিক চুক্তিতে সম্মতি দেবেন না, যা বাকিদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং গাজার সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার প্রচেষ্টা সরকারের চরমপন্থী অংশের স্বার্থে কাজ করছে এবং এটি ইসরাইলের বৃহত্তর স্বার্থের পরিপন্থী।”

অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার, যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় এবং বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন নিয়ে নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যা চূড়ান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। তবে সংগঠনটি কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় আলোচনায় নমনীয়তা দেখানোর কথা বলেছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে মিথ্যাচার করার অভিযোগ এনে বলেন, তারা আগের চুক্তিকে অস্বীকার করছে এবং আলোচনার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন, ইসরাইল তাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ জানিয়েছেন, তার দেশ গাজা উপত্যকায় নিরাপত্তা অঞ্চল এবং বাফার জোন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়।