শিরোনাম

এবার ভারতকে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে পুনরায় সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি ভারত মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা অব্যাহত রাখে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। ট্রাম্প পূর্বেও ভারতকে শুল্কের ক্ষেত্রে ‘বড় অপব্যবহারকারী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের উত্তেজনা

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস-এর প্রতিবেদনে উঠে আসে, ট্রাম্প বলেছেন, “যদি ভারত আমাদের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে, তবে আমরাও তাদের পণ্যে একই হারে শুল্ক আরোপ করব।” তার এই মন্তব্য মার্কিন-ভারত বাণিজ্য সম্পর্কের চলমান উত্তেজনা এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।

ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগ

ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার অভিযোগ করেছেন যে, ভারত দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন পণ্যের ওপর অত্যন্ত উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করছে। বিশেষ করে, হার্লি ডেভিডসন মোটরসাইকেলের ওপর ভারতের শুল্ক নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভারত ও ব্রাজিল প্রায় ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা মার্কিন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক।

বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি মার্কিন প্রশাসন ভারতের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক বাড়ায়, তাহলে তা ভারতের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, আইটি এবং টেক্সটাইল খাত এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে, ভারতীয় কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হতে পারে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

ট্রাম্পের প্রথম শাসনামলেই ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা হারিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার দ্বিতীয় শাসনামলেও একই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। এটি বাণিজ্য সম্পর্কের উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের করণীয়

এই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা। একদিকে দেশের স্বার্থ রক্ষায় শুল্ক নীতি বজায় রাখা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি বাজার থেকে দূরে সরে

  • ট্রাম্প
  • ভারত
  • যুক্তরাষ্ট্র
  •