৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই নির্দেশনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুলসহ এই আদেশ দেন। রিটটি করেছিলেন ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৪ জন পরীক্ষার্থী।
৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয় এবং প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ৯ মে, যেখানে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৩৮ জন।
এক বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে অভিযোগ ওঠে যে, বিসিএসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ জুলাই রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষাসহ একাধিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগে বলা হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘ এক যুগ ধরে এসব প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে পরীক্ষার ২৪ জন প্রার্থী রিট দায়ের করেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ নাভিলা কাশফি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
হাইকোর্টের এই নির্দেশনার মাধ্যমে বিসিএস পরীক্ষা এবং অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।