ভ্রমণ বা অন্যান্য কারণে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলে আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অতিরিক্ত টিকিট সংরক্ষণ করতে পারত। এ ধরনের ক্ষেত্রে ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করা হতো এবং সংরক্ষিত টিকিটের জন্য ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হতো। তবে এখন থেকে আর কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য টিকিট সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না।
রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মো. আনসার আলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে সহজ লিমিটেডের (লিড পার্টনার) ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে, যা সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ অক্টোবর রেলভবনের সম্মেলনকক্ষে টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার উপস্থিতিতে আয়োজিত এক সভার আলোচনার ভিত্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে: কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আর কোনো টিকিট সংরক্ষণ করা হবে না। শুধুমাত্র রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ছাড়া আর কোনো আসন সংরক্ষণ করা যাবে না।
এছাড়া, চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ছাড়া অন্য কোনো টিকিট সংরক্ষণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই সংরক্ষিত আসনগুলোর টিকিট রিলিজ ও রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।