ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোববার (২০ অক্টোবর) এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল দেশের সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে এই তথ্য জানতে চেয়েছে। এনবিআরের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হারুন অর রশীদ ছাড়াও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের (যেমন মা-বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং বোন) নামে থাকা ব্যক্তিগত বা যৌথ ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেই বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হারুন এবং তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করছে। এখন কর ফাঁকি শনাক্ত করার জন্য এনবিআর মাঠে নেমেছে।
এক সিআইসি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হারুনের বিপুল সম্পদের তথ্য তাদের কাছে এসেছে, যা একজন সরকারি কর্মকর্তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অর্থপাচার ও কর ফাঁকির অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে হারুন ঢাকায় ডিবিপ্রধানের দায়িত্ব পালন করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার ঘটনায় তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। ডিবি হেফাজতে থেকে সমন্বয়করা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন, এবং হারুন তাদের সঙ্গে এক টেবিলে খাওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন, যা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশের পর তাকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর হারুনকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, এবং তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে আদালত কর্তৃক।