ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তিতে কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৩১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ সেশনের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
জুলাই মাসে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন পরবর্তীতে অভ্যুত্থানের রূপ নেয়। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। এই আন্দোলনের চাপেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সময়ের অভাবে কোটা সংস্কারের কাজ এ বছর সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ২৭ অক্টোবরের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং কোটা সংস্কারের জন্য আইন অনুষদের ডিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে রোববার পর্যন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং কোটা বহাল রেখেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ড, উপজাতি, প্রতিবন্ধী ও খেলোয়াড় কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা রাখা অন্যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, “কোটা প্রথা মেধাবীদের প্রতি অবিচার। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে হাসিনার পদত্যাগ নিশ্চিত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই বৈষম্যমূলক কোটা বহাল রাখে, তবে এর পরিণতি ভালো হবে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা হয়েছে এবং একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী বৈঠকে বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করা হতে পারে।
তবে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।