আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা ও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি জানিয়েছে, সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ এখনও অনুপস্থিত।
সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে। ‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী ১০০ দিনের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্র পাঠ করেন সংস্থার প্রধান গবেষক শাহজাদা এম আকরাম।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ফলে রাষ্ট্র সংস্কার এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তনের মাধ্যমে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার একটি বিরল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে, এই লক্ষ্যে অগ্রসর হতে সরকারের বহুমাত্রিক কৌশল এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ভূমিকা রূপান্তরের প্রয়োজন।
গবেষণায় ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ভারত কর্তৃক কর্তৃত্ববাদী সরকার পতনের বাস্তবতা মেনে না নেওয়ায় সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, যা দেশের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং আইএমএফ-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ সহায়তা শর্তের কারণে অর্থনৈতিক দায় বাড়বে বলে টিআইবি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
টিআইবি বলেছে, সরকারকে দ্রুত কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং বিভিন্ন অংশীজনের ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ধৈর্য ও সময়ের প্রয়োজন বলে সংস্থাটি মনে করে।