১ অক্টোবর ইরানের ওপর ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে। প্রায় ৪ সপ্তাহ পরে ইসরায়েল তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়, এতে ইরানের ৪ জন সেনা সদস্য নিহত হন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ চায় না, তবে প্রয়োজনীয় জবাব দেওয়া হবে। রোববার (২৮ অক্টোবর) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এ তথ্য প্রকাশ করে।
ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেজেশকিয়ান বলেন, “আমরা যুদ্ধ দেখব না, আমাদের দেশ ও জাতির সুরক্ষায় আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। ইহুদিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের এই হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে মনে করছে তেহরান। পশ্চিমা মিত্ররা ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে পেজেশকিয়ান বলেন, “বিশ্ববাসী দেখছে, ইসরায়েলি শাসকদের সমর্থনকারী দেশগুলো, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও শীর্ষে রয়েছে, স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষার কথা বললেও হাজার হাজার নারী ও শিশু হত্যায় নীরব থাকে।”
তিনি আরও বলেন, যদি ইহুদিবাদী শাসক তাদের আগ্রাসন চালিয়ে যায়, তাহলে উত্তেজনা বাড়বে, আর এতে যুক্তরাষ্ট্রও ইন্ধন দিচ্ছে।
ইরানের নিহত চার সেনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পেজেশকিয়ান সামাজিকমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “ইরানের শত্রুরা যেন জানে, এই সাহসী যোদ্ধারা তাদের মাতৃভূমি রক্ষায় অটল। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তারা যেকোনো আগ্রাসনের যথাযোগ্য জবাব দেবে।”