৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও পরিচালক পদে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হলেও অনেক পরিচালক সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে, কোনো পরিচালক পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
অনুপস্থিত পরিচালকদের পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে অনেক আলোচনা চলছিল। অবশেষে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিসিবি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে বোর্ডের পঞ্চম সভার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১১ পরিচালকের সদস্যপদ বাতিলের কথা জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিন পরিচালকের পদত্যাগপত্রও গৃহীত হয়েছে, এবং আলমগীর হোসেনের মৃত্যুর কারণে মোট ১৫টি পরিচালক পদ এখন শূন্য।
সদস্যপদ হারানো পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল হায়দার, ওবেদ নিজাম, তানভীর আহমেদ, আ জ ম নাছির উদ্দীন, গাজী গোলাম মর্তুজা, শেখ সোহেল, নজীব আহমেদ, মঞ্জুর কাদের, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম ও শফিউল আলম চৌধুরী। এছাড়া, খালেদ মাহমুদ, নাঈমুর রহমান এবং এনায়েত হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।
এ ছাড়া বোর্ড সভায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিপিএল শুরু হবে এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। এই টুর্নামেন্টে পুরোপুরি ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হবে।
তিনটি বড় ভেন্যুতে আধুনিক জিম স্থাপনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।