বিদেশে মারা যাওয়া শ্রমিকের লাশ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে আনা এবং ১১ দফা দাবি না মানলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসীরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরেন ওমান প্রবাসী কামরুল আলম। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রবাসীরা দেশে ফিরে এলে তাদের অবসর ভাতা প্রদান করা উচিত। প্রয়োজনে বা কর্মস্থলে কোনো কারণে মারা গেলে বা পঙ্গু হলে পরিবারের জন্য এককালীন ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তিনি আরও দাবি করেন, প্রবাসীদের পরিবারের জন্য বিশেষ স্মার্ট কার্ড দেওয়া উচিত যাতে তারা সকল নাগরিক সুবিধা পায়। পাসপোর্ট, ভিসা বা আকামার কপি দিয়ে প্রবাসীরা সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণ পাবে, যা বাড়ি নির্মাণ বা ব্যবসার জন্য ব্যবহার করা যাবে। দেশে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
প্রবাসীদের কোনো সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ সহযোগিতা করবে এবং প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। অসুস্থ হয়ে দেশে আসা প্রবাসীদের সরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। প্রবাসীদের পরিবারের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ করবে। বিমানবন্দরে লাগেজের ক্ষতির ক্ষেত্রে প্রতিটি খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা সাত দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে। অভিবাসন এবং বিদেশ যাত্রায় হয়রানি প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ব্যবস্থা নিতে হবে।