যুক্তরাজ্যের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যাত্রায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এ ক্ষেত্রে, যদি অন্তর্বর্তী সরকার কোন ধরনের সহায়তা চায়, তবে সে অনুযায়ী পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন প্রদান করতে চেষ্টা করবে যুক্তরাজ্য।
রবিবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ক্যাথরিন ওয়েস্ট তার বক্তব্যে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে মন্তব্য করেন এবং দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অবশ্যই। আমরা আশা করি, প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন এবং সেটা প্রকাশিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “১১ বছর পর আমি বাংলাদেশে এসেছি। এটি আমার দ্বিতীয় সফর। ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী হিসেবে এখানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং জানি যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় পুনর্মিলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে পূর্ণ সমর্থন জানাই।”
ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, “আমি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সংকল্পকে স্বাগত জানিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়, তাই আমরা এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চাই। আমরা অর্থনীতি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।”
ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে আলোচনা করার পর, তিনি বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ১০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।”