বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছেন। তারা গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের ফাঁসির দাবি করেছেন, অভিযোগ করে যে তিনি দেশের ব্যাংক খাত লুটের অন্যতম সহযোগী।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনেও গভর্নর অফিস করেননি। এদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমান ও পলিসি ও নীতি কমিটির উপদেষ্টা আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসেরসহ ছয় শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। চার ডেপুটি গভর্নর এবং আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন এবং কার্যালয় ত্যাগ করেছেন। তবে ঘটনার সময় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কার্যালয়ে ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের ২০০-এর বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের দাবি, ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা দায়ী এবং তাদের দায়িত্বে থাকলে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরবে না। বিক্ষুব্ধরা নির্বাহী পরিচালক-১ জাকির হোসেন চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভের সময়, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার জানান, তিনি কার্যালয় ত্যাগ করছেন। বাকি দুই ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম ও মো. হাবিবুর রহমান কার্যালয়ে ছিলেন না। কর্মচারীরা ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান, তারা অফিসে আর আসবেন না। উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাসুদ বিশ্বাসও জানান, তারা আর ব্যাংকে আসবেন না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব শীর্ষ কর্মকর্তারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।