ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে মোট ৫ হাজার ৫ শত নির্ধারিত টাকার ব্যয়। এই বাজেটের অনুমোদন সরকারী সভার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও সমর্থন পেয়েছে সভার। এই বছরে ডিএনসিসি থেকে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকার রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত চার বছরে রাজস্ব আদায়ের হার ৭৬% বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএনসিসির।
০৭ জুলাই, রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনে হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৯তম কর্পোরেশন সভা ও বাজেট সভা। সভার উদ্বোধনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম সূচনা বক্তব্য দেন। তারপরে ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এই সময়ে সংশোধিত বাজেট ও নতুন বাজেট সভার সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে।
সভার সভাপতি হিসাবে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল সিটি কর্পোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ডিএনসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। নিজস্ব তহবিল থেকে ৫৩% ব্যয় করে ডিএনসিসির মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি পরিমাণ ব্যয় করা হবে।
বাজেটে তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবং এটি অনুষ্ঠিত হয় ২৯তম পরিষদের সভায়, বাজেট সভায় ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রকাশ করেন। মেয়র বলেন, ‘সুস্থ, সচল, আধুনিক স্মার্ট ডিএনসিসি গড়তে বাজেটে তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে; এক-জনস্বাস্থ্য রক্ষা, দুই-জলাবদ্ধতা নিরসন, তিন-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ডিএনসিসির বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খাল উদ্ধারপূর্বক খালের উন্নয়ন তরান্বিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান এবং ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।