বিডিআর বিদ্রোহ ছিল দেশকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র: তদন্ত কমিশন প্রধান

ছবি : সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহ কোনো দাবি আদায়ের আন্দোলন নয়, বরং এটি দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

১৫ বছর আগে পিলখানায় ঘটে যাওয়া সেই মর্মান্তিক ঘটনায় রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর। মাত্র দুই দিনের মধ্যে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নির্মমভাবে প্রাণ হারান। সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন বেঁচে ফেরা ৫৫ জন, যারা চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমাদের চরমভাবে নির্যাতন করে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। গলা টিপে হত্যা করা হয়। আমরা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছি।”

গত ডিসেম্বর মাসে গঠিত ৭ সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সঙ্গে শহীদ পরিবারের মতবিনিময় সভায় উঠে আসে সেই সময়ের ভয়াবহ ঘটনাগুলো। সঠিক বিচার না হওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করে তারা বলেন, প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

কমিশনের সভাপতি আ ল ম ফজলুর রহমান জানান, পিলখানা হত্যাযজ্ঞের তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে শেষ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, “আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো আমরা আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই। আরও এক মাস সময় রাখা হবে, যেখানে বিশেষ করে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে হয় তিনি এসে কথা বলবেন, না হলে আমাদের টিম সেখানে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নেবে।”

এ সময় তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ প্রদানের আহ্বান জানান।