প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএফএ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে—এটি এখন বিশ্ব দেখছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “আমাদের সভ্যতা হুমকির মুখে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের গুরুত্ব অপরিসীম।”
চার দিনের সরকারি সফরে বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে চীনের হাইনান প্রদেশের কিয়ংহাই বোয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং হাইনান প্রদেশের ভাইস গভর্নর।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কু দোংইউর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন অধ্যাপক ইউনূস।
সফরের অংশ হিসেবে ২৯ মার্চ তিনি চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিকেইউ) বক্তৃতা দেবেন, যেখানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
এছাড়াও, চীনের বিভিন্ন হাসপাতাল চেইনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। আলোচনায় যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে হাসপাতাল স্থাপনের সম্ভাবনা এবং স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
চার দিনের এই সফর শেষে আগামী ২৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।