রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পর কবি নজরুল সরকারি কলেজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) কলেজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) কবি নজরুল সরকারি কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এর আগে, সোহরাওয়ার্দী কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৫ ও ২৬ নভেম্বর কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
সংঘর্ষের পটভূমি:
ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, ন্যাশনাল মেডিকেলে ভুল চিকিৎসার কারণে অভিজিৎ মারা যায়। ২০ নভেম্বর তার মরদেহ নিতে এলে কলেজের শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়া হয়, যা থেকে বিক্ষোভের সূত্রপাত।
পরদিন ২১ নভেম্বর ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল মেডিকেলে ফিরে এলে সেখানে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে।
২৪ নভেম্বরের সংঘর্ষ:
রোববার (২৪ নভেম্বর) মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল, কবি নজরুল এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায়। এদিন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর করে এবং হাসপাতালের গ্লাস ও আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে।
২৫ নভেম্বরের ঘটনা:
হামলার প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের গেটে অবস্থান নেন। দুপুরের দিকে হাজারও শিক্ষার্থী মোল্লা কলেজে আক্রমণ চালায়। তারা ভবনের জানালার গ্লাস, আসবাবপত্র এবং কম্পিউটার ভাঙচুর করে।
এ সময় সংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন:
অতিমাত্রায় উত্তেজিত পরিস্থিতি সামাল দিতে যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় মোল্লা কলেজের সামনে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।