বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং ইসলামিক খিলাফত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে “গুরুতর” বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানতে চাইলে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, সেটিই আমাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুতর।”
সোমবার (১৭ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড দাবি করেন, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চলছে, যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়টি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
তুলসী গ্যাবার্ডের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার রাতেই এক বিবৃতিতে সরকার জানায়, “আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য লক্ষ্য করেছি। তার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং দেশটি চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
এদিকে, স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নতুন মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি, তবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান।