শিরোনাম

জাতিসংঘের প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে অকাট্য দলিল হবে: চিফ প্রসিকিউটর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত দল অনুসন্ধান চালায় এবং সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে যে, জুলাই-আগস্ট মাসের আন্দোলনের সময় সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিল। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার কঠোর ও পদ্ধতিগত দমননীতির আশ্রয় নেয়।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত ও আহতদের সংখ্যা এবং অস্ত্র ব্যবহারের ধরন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে, রাষ্ট্রযন্ত্র সুপরিকল্পিতভাবে একটি জনগোষ্ঠীর ওপর আঘাত হেনেছিল। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট প্রমাণ। জাতিসংঘের প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ একটি নিরপেক্ষ ও সর্বজনস্বীকৃত আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাদের প্রতিবেদন কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক নয়। তদন্তকারীরা নিরপেক্ষভাবে অপরাধীদের, ভুক্তভোগীদের ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাই এটি আদালতে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের উপযুক্ত।

তিনি উল্লেখ করেন যে, তৎকালীন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয়েছে। জাতিসংঘ সুপারিশ করেছে, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হোক যাতে তারা বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে না পারেন। চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ও এ সুপারিশকে যৌক্তিক মনে করে।

মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ একধরনের মরাটোরিয়াম (স্থগিতাদেশ) দেওয়ার প্রস্তাব করেছে, যাতে দণ্ড কার্যকর না করা হয়। তবে এটি আদালতের বিচারকদের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়, যা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।