শিরোনাম

সেবার মান বাড়িয়ে শেবাচিম হাসপাতাল সবার শীর্ষে নিয়ে যাব : পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

শেবাচিম হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে উদ্যোগ: জনবল সংকট ও অনিয়ম দূর করার প্রতিশ্রুতি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনির জানিয়েছেন, দেশের অন্যতম প্রাচীন এই হাসপাতালটি জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে পিছিয়ে রয়েছে। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত শেবাচিম হাসপাতালকে সেবার মানে শীর্ষে নিয়ে যেতে তিনি সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মেডিসিন বিভাগের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

পরিচালক উল্লেখ করেন:

  • জনস্বার্থে স্বচ্ছতা: স্বাস্থ্যসেবায় কোনো লুকোচুরি বা দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
  • সেনাবাহিনীর দায়িত্ব: সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতার কারণেই তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
  • সাংবাদিকদের ভূমিকা: তথ্য ও পরামর্শের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম ধীরে ধীরে সবার সহযোগিতায় সমাধান করা হবে। সরকারি অর্থের অপচয় রোধে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। কোনোভাবেই দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।”

হাসপাতালের উন্নয়নে পরিকল্পনা

পরিচালক তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শেবাচিম হাসপাতালকে দেশের অন্যতম শীর্ষ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, “জনবল ও সরঞ্জামের সংকট থাকা সত্ত্বেও আমি সেবার মান বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

উপস্থিত ব্যক্তিরা

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন:

  • শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান
  • বরিশাল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আল মামুন
  • বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ
  • বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ
    এছাড়াও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পদ গ্রহণের তথ্য

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনির। তিনি এসজিপি, এসইউপি, এমবিবিএস, এমফিল, এমপিএইচ, এমডিএম ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক।