শিরোনাম

বগুড়ার সঙ্গে সব জেলার বাস চলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ায় দুই শ্রমিক নেতাকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে শহরের সাতমাথা, চারমাথা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ও ঠনঠনিয়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

বগুড়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান জানান, সকাল থেকে শহরের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলা দিয়ে চলাচলকারী অন্যান্য জেলার বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বগুড়া শহরের স্টেশন রোডে মিতালী ফিলিং স্টেশনের পাশে কয়েকটি নারিকেল ব্যবসায়ী দোকানের সামনে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাখা হয়। চালকরা জায়গাটিকে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করায় ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার বিকেলে বাধা দেন। এতে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে চালকরা বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের খবর দেন। শ্রমিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলা চালান। এতে সংগঠনের সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা ও নির্বাহী সদস্য হযরত আলী গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিরোধ থামাতে গিয়ে দুই শ্রমিক নেতা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রতন নামে এক নারিকেল ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

দুই শ্রমিক নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা প্রথমে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করেন। পরে তারা বগুড়া থেকে চলাচলকারী সকল রুটের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হামিদ মিটুল ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালেকুজ্জামান খান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।