মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করা উচিত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি দেন বলে জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “যদি সব ইসরায়েলি জিম্মি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে মুক্তি না পায়, তাহলে আমি মনে করি যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত। যা কিছু ঘটুক, ইসরায়েলের উচিত এটি অগ্রাহ্য করা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন হামাস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ঘোষণা দিয়েছে যে, ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করায় ১৫ ফেব্রুয়ারির জন্য নির্ধারিত জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং মঙ্গলবার সকালে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেন।
হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা জানান, গত তিন সপ্তাহে ইসরায়েল একাধিকবার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করেছে, বিভিন্ন স্থানে বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করেছে এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, হামাসের এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, ইসরায়েল যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিম্মি মুক্তির জন্য আলোচনার পথ এখনো খোলা রয়েছে। এ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েল শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
এর আগে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি গাজা কিনে নেওয়ার এবং এর মালিকানা পাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।