হাথুরুসিংহের বেতন ৩৫ লাখ টাকা, স্থানীয় কোচদের বেতন কত?

হাথুরুসিংহের বেতন ৩৫ লাখ টাকা, স্থানীয় কোচদের বেতন কত?

বাংলাদেশ দলের জন্য বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মাসিক বেতন ৩৫ লাখ টাকার বেশি। বর্তমানে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন অস্ট্রেলিয়ান ট্রেনার নাথান কেলির, যার বেতন মাসে সাড়ে ৯ লাখ টাকা। এমন পারিশ্রমিক দেখে কোচের চাকরিকে স্বাভাবিকভাবেই লোভনীয় মনে হবে।

কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিসিবির অধীনে জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় কোচ মিলিয়ে বর্তমানে ৯৫ জন কোচ কাজ করছেন। চার শ্রেণিতে থাকা এই কোচদের মধ্যে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ১৪-১৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো।

২ জুলাই অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভায় বিসিবি কোচদের চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে তাঁদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, কোচদের সর্বনিম্ন বেতন হবে প্রায় ২৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ৩ লাখ টাকা। তবে দুই থেকে তিন লাখ টাকা বেতন পাওয়া কোচের সংখ্যা খুবই সীমিত। এই উচ্চ বেতনের কোচরা সাধারণত জাতীয় দল এবং বিসিবির অধীনে থাকা অন্যান্য দল ও অনুশীলন ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করে থাকে।

কোচদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই কোচদের গ্রেড ঠিক করা এবং বেতনকাঠামো ঠিক করা নিয়ে কাজ করছি। জেলা পর্যায়ে কোচদের বেতন খুবই কম ছিল। এখন গ্রেডিং সিস্টেম করে বেতনও বাড়ানো হলো।’ তিনি আরও জানান, পরে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কোচদের মূল্যায়ন করা হবে। ‘আমরা একটা কেপিআই নিয়ে কাজ করছি। অন্য ক্রিকেট বোর্ডে কোচদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়, সেটা দেখে আমরাও কোচদের জন্য কেপিআই তৈরি করব,’ বলেন ফাহিম সিনহা।

বিসিবির অভিজ্ঞ কোচ মিজানুর রহমান বেতন বাড়ানোর উদ্যোগের প্রশংসা করে বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বোর্ডকে ধন্যবাদ দীর্ঘদিন পর এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।’ তিনি ভবিষ্যতে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কোচদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন এবং বলেন, ‘এখন আমাদের একটা মূল্যায়ন হচ্ছে। যেভাবে চলছিল, সত্যি কথা বলতে, আমরাও পারছিলাম না। এটা আমাদের অনেক দিনের অনুরোধ ছিল। অনেক দিন পর সেটা হলো, এটি অবশ্যই কোচদের জন্য ইতিবাচক দিক।’