লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে রবিবার মুখোমুখি হয়েছিল মোস্তাফিজের ডাম্বুলা সিক্সার্স ও তাসকিনের কলম্বো স্ট্রাইকার্স। এই ম্যাচে জয় পেয়েছে মোস্তাফিজের ডাম্বুলা সিক্সার্স। কলম্বো স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ডাম্বুলা সিক্সার্স। এই ম্যাচটা মোটেও ভালো প্রদর্শন হয়নি দুই টাইগার পেসারের।
ডাম্বুলা সিক্সার্স টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ বল হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। ৪ ওভার বোলিং করে তিনি কোন উইকেট পাননি, তবে রান দিয়েছেন ৫৩। গ্লেন ফিলিপসের ৩৬ বলে ৫২ রানের উপর ভর করে কলম্বো স্ট্রাইকার্স পুঁজি পায় ১৮৫ রানে।
রেজা হেন্ড্রিক্স ও কুশল পেরেরার কাছে ধরাশায়ী হয় কলম্বোর বোলাররা। এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১৫৪ রান। তাসকিনের শিকার হওয়ায়ও তারা জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান।
এদিকে তাসকিন আহমেদ দুই উইকেট পেলেও খরুচে ছিলেন। তিনি ৪ ওভার বোলিংয়ে ৪৫ রান দিয়েছেন এই পেসার হিসাবে। তাসকিনের দুই উইকেটও কলম্বো স্ট্রাইকার্সকে ম্যাচে ফেরাতে পারেননি। জয়ের বাকি কাজটা লাহিরু উদারা ও মার্ক চ্যাম্পম্যান করেছেন । উদারা ৮ বলে ১১ রান এবং চ্যাম্পম্যান ১০ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
৪ ম্যাচে কলম্বো স্ট্রাইকার্স দুটি জয় নিয়ে টেবিলের তিনে রয়েছে। একই সময়ে, মোস্তাফিজের ডাম্বুলা সিক্সার্স একটি জয় নিয়ে টেবিলের চারে রয়েছেন।
অন্যদিকে, শরিফুল ইসলাম এর ক্যান্ডি ফ্যালকনস দেখে তৃতীয় হারে মুখ খুলেছিলেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য লক্ষ্য করে ১৭ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে গল মারভেলস। তারপরও দল হারলেও বল হাতে একলা লড়াই করেছেন শরিফুল ইসলাম।
শরিফুলের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে নিরোশান ডিকাভেলা মারেন ৩টি বাউন্ডারি। এই ওভারের শেষ বলে শরিফুল ফিল্ডে সাফল্যের পরিকল্পনা নিয়ে আন্দ্রে ফ্লেচারের হাতে ক্যাচ হয়ে যান ডিকভেলা।
শরিফুলের এই উইকেটটাই ছিল ক্যান্ডির একমাত্র সাফল্য। দ্বিতীয় ওভার থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হতে শুরু করেন গলের দুই বিদেশি ব্যাটার, অ্যালেক্স হেলস এবং টিম সাইফার্ট। তাদের দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ার পথে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৮৯ রান করে গল। পাওয়ারপ্লের পর অ্যালেক্স হেলসকে হাসারাঙ্গা বলে আউট করেন। তবে হেলস ১৯ বলে ৩৮ রান করে ফেরে যখন, তখনই জয়ের পথ গলের জন্য তৈরি হয়ে যায়। বাকি ম্যাচে গলের ব্যাটারদের কাছে আর তেমন ঝুঁকি নামায় নি। শরিফুল তার দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে বিপজ্জনক ব্যাটার ভানুকা রাজাপাকসেকে ফেরান। তবে সেই ব্যাটিংটে তার কোন কাজ হয়নি।
শরিফুল চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। তিনি ক্যান্ডির বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হলেন। তার দলের অন্য বোলারদের চেয়ে টাইগার পেসার হিসেবে তিনি একটি কিপটে বোলিংও করেছেন।
আগের ব্যাটিং নিয়ে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়েছিল ক্যান্ডি। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ফ্লেচার এবং অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ফ্লেচার ৩৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন, হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে ৩২ বলে ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস দিয়ে একই দিনে ১৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করেন। তবে হেলস এবং সাইফার্টের বলিংতে ক্যান্ডির সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য অপর্যাপ্ত হয়।