অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন

বঙ্গভবনের দরবার হলে আজ রাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে তিনি শপথ নেন, যদিও মূলত রাত ৮টায় শপথ গ্রহণের কথা ছিল, তা পিছিয়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।

শপথ গ্রহণের আগে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার গাড়িবহর নিয়ে রাত ৮টা ২৮ মিনিটে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। তার আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।

এর আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, “দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতাগুলো ষড়যন্ত্রের ফল। এটি রোধ করতে হবে এবং সহিংসতাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। কোনো প্রতিহিংসামূলক কাজ করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যদি আপনারা আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যে, কারও ওপর কোনো প্রকার হামলা করা হবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা হয়, তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকব না।”

ড. ইউনূস কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আজকের এই মুহূর্তে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে। তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ, তারা যেন নিজেদের মতো করে দেশটাকে সাজাতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, এবং যারা এ আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”