শিরোনাম

সিরিজ শেষে এবার শক্তিশালী হয়েই আবারও যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে নিজেদের শেষ বারের মতো ঝালিয়ে নিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যার প্রথমটিতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। দিন দুয়েক আগেই যাদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল শান্ত বাহিনী।

গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনে আগামী ২ জুন পর্দা উঠবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।

বাংলাদেশের যাত্রা অবশ্য শুরু হবে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মূল পর্বের লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের শেষ বার ঝালিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট ও ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।


যদিও শান্তরা নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে চলতি মাসের শুরু থেকেই। ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেখানে পারফরম্যান্স আহামরি না হলেও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে এরপর সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পাড়ি দেয় হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। যেখানে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ।

তবে বড় দুই দলকে মোকাবিলা করার আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রস্তুতিমূলক সিরিজেই হতাশ করেছে শান্তর দল। র‌্যাঙ্কিংয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে বাজে হার। যদিও শেষটা দাপুটের সঙ্গে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে বাংলাদেশকে আরও একবার মুখোমুখি হতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের।

এই ম্যাচ অবশ্য কোনো সিরিজের অংশ নয়, কেবল একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে শান্তরা বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত তার প্রমাণ মিলবে এ ম্যাচে। এর তিন দিন পর ১ জুন ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে , একজন লেগ স্পিনারের জন্য বাংলাদেশ বছরের পর বছর আক্ষেপ করে গেছে। যখন যার মাঝে একটুখানি সম্ভাবনা দেখেছে সরাসরি নামিয়ে দিয়েছে মাঠে। কিন্তু নানা কারণে সেভাবে কেউই আশা আগাতে পারেননি। চলতি বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে আশার আলো দেখিয়েছেন রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিনে উইকেট শিকারের পাশাপাশি তার হার্ড হিটিং ব্যাটিংও বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা।

টাইগারদের বর্তমান হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়াতেই আনকোরা রিশাদ হোসেন জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। আর প্রথম সিরিজেই তাক লাগিয়ে সোজা বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিয়েছেন রিশাদ। শুধু জায়গা করে নেওয়াই নয়, একাদশেও তার থাকাটা প্রায় নিশ্চিত। এর কারণ অবশ্য শুধুই লেগস্পিন নয়, বরং রিশাদের সহজাত বল পেটানোর ক্ষমতা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে তিনি যেভাবে থিকসানা, হাসারাঙ্গাদের পিটিয়ে ছাতু বানিয়েছেন, তা বিস্ময় জাগিয়েছে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মাঝে।

কোচ হাথুরুসিংহে তাকে আখ্যায়িত করেছেন বিস্ময়কর প্রতিভা হিসেবে। লেগ স্পিন বোলিং ও হার্ড হিটিং ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিং – রিশাদ এক পরিপূর্ণ প্যাকেজ। বিশ্বকাপে তার কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশাও অনেক। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকারের আজকের পর্বে ছিলেন রিশাদ। সেখানে তিনিও জানিয়েছেন, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন মাধ্যমেই দলের জয়ে অবদান রাখতে চান ।

  • ঊষারবাণী
  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • বাংলাদেশ ক্রিকেট
  • বিশ্বকাপ
  •