শিরোনাম

কোন রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে জায়গা করে নিল নেইমারের ক্লাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

বিশ্বের নামিদামী সব ফুটবলারদের দলে ভিড়িয়ে ফুটবল ক্লাবের বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করতে মুখিয়ে আছে সৌদি ক্লাবগুলি। সেই লক্ষ্যেই ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছিল সৌদি ক্লাব আল হিলাল। এর সুফলও পেয়েছে তারা। ইনজুরির কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে নেইমারকে ছাড়াই মাঠে আধিপত্য দেখিয়েছে ক্লাবটি। এবার নতুন রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে আল হিলাল।

টানা ৩৪ ম্যাচে অপরাজিত থেকে গিনেস বুকে নাম লেখায় সৌদি আরবের ক্লাবটি, যার সাক্ষী হয়েছেন নেইমারও। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৩৪ ম্যাচ জেতে নেইমারের ক্লাব আল হিলাল, যা পুরুষ ফুটবলের ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড। এই কৃতিত্বের জন্য আল হিলালের নাম উঠেছে গিনেস বুকেও।

তবে সর্বশেষ ১৭ এপ্রিল ২০২৩-২৪ মৌসুমের সবশেষ ম্যাচে আল-আইনের বিপক্ষে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে হেরে যায় নেইমারের দলটি। বৃহস্পতিবার রিয়াদের কিংডম অ্যারেনায় আয়োজনের মাধ্যমে এই কৃতিত্ব উদযাপন করে আল হিলাল। সেখানে গিনেস কর্তৃপক্ষের দেওয়া সনদ হাতে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবটির প্রধান কোচ জর্জ জেসুস ও সভাপতি ফাহাদ বিন সাদ বিন নাফেল। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিশিয়াল অ্যাডজুডিকেটর ক্যানজি দেফরাওয়ি জানান, আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি উদযাপনে পুরো স্টেডিয়ামটি আলোকসজ্জায় ভরে ওঠে। সেই অনুষ্ঠানে ২০২৩-২৪ মৌসুমে সৌদি প্রো লিগের ট্রফিও তুলে দেওয়া হয় ক্লাবটিকে।

অনুষ্ঠান শেষে ফুটবলারদের লাউঞ্জে গিনেস সনদ হাতে নিয়ে স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখতে ভোলেননি আল হিলালের ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। বর্তমানে ইনজুরিতে থাকা এই ফরোয়ার্ড সেই সনদ নিয়ে বেশ কিছু ছবিও তুলেছেন। গত গ্রীষ্মের মৌসুমে ফরাসি ক্লাব পিএসজি থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়ানো হলেও, আল হিলালের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। ইনজুরির কারণে আসন্ন কোপা আমেরিকায়ও তাকে ছাড়াই খেলবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

উল্লেখ্য, গত মাসে সৌদি সুপার কাপ জিতে নিয়েছে নেইমারের ক্লাবটি। ক্লাবটির ৬৬ বছরের ইতিহাসে এটিই নিঃসন্দেহে সেরা মৌসুম বলে আখ্যা দিয়েছেন কোচ জেসুস। শুক্রবার মৌসুমের ট্রেবল জেতার লক্ষ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের বিপক্ষে কিংস কাপের ফাইনালে মাঠে নামবে আল হিলাল।

এর আগে ২০১৬ সালে ওয়েলসের ক্লাব নিউ সেইন্ট টানা ২৭ ম্যাচ জিতে এই রেকর্ড গড়েছিল। গত মার্চে আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে ২-০ জয়টি ছিল আল হিলালের রেকর্ড গড়া ২৮তম জয়। সেই ধারা গিয়ে থামে ৩৫তম ম্যাচে, যখন নেইমাররা আল আইনের কাছে ২-৪ ব্যবধানে হেরে যায়।

আজ অবশ্য মৌসুমের শিরোপাহীনতা কাটানোর সুযোগ রয়েছে রোনালদো–সাদিও মানেদের সামনে। তবে এবারও তাদের সামনে বাধা আল হিলাল। কিংস কাপের ফাইনালে দু’দল পরস্পরের মোকাবিলা করবে।

এদিকে, আল হিলালের ৬৬ বছরের ইতিহাসে এই বছরটিকে সবচেয়ে সেরা বলে মন্তব্য করেছেন কোচ জেসুস। এজন্য তিনি ফুটবলারদের আন্তরিক বোঝাপড়া ও মাঠের বাইরে ক্লাবটির অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিজেদের ইতিহাসে ৬৮টি শিরোপা জেতা আল হিলালকে এশিয়ার সবচেয়ে রাজকীয় ক্লাব বললেও ভুল হবে না!

  • ঊষারবাণী
  • ক্লাব আল হিলাল
  • গিনেস বুক
  • নেইমার
  •