ইসরায়েলি জনগণ গাজা থেকে বাকি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ১ সেপ্টেম্বর তেল আবিবে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে জনতার দাবি, যত দ্রুত সম্ভব একটি চুক্তির মাধ্যমে সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি ইসরায়েলের সামরিক চাপ অব্যাহত থাকে, তবে জিম্মিদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি উল্লেখ করেছেন, জিম্মিদের ‘কফিনে করে’ ইসরায়েলে ফিরতে হতে পারে।
আবু উবায়দা সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি চুক্তি সইয়ের পরিবর্তে জোর করে জিম্মিদের মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়, তবে নেতানিয়াহুর পরিণতি হবে করুণ। জিম্মিরা কফিনে করে পরিবারের কাছে ফিরবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিম্মিদের পরিবারগুলোর সামনে দুটি পথ রয়েছে: তারা জীবিত অবস্থায় ফিরবেন, অথবা মৃত।’ রাফা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর এই সতর্কতা জারি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়ার জন্য নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দায়ী থাকবে।
হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা উজ্জাত আল-রিশেক ছয় জিম্মির মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। তার মতে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিযোগ করেছেন যে, হামাসের হাত থেকে জিম্মিদের মুক্ত করতে এবং যুদ্ধবিরতি আনতে নেতানিয়াহু পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেননি। তবে, একটি প্রস্তাবনা ‘চূড়ান্ত’ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবনাকে ‘গ্রহণ করুন বা ছেড়ে যান চুক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন, যেখানে কাতার ও মিসরের চলমান শান্তি প্রক্রিয়া গুরুত্ব পেয়েছে।
এর আগে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবর দেয়। তাদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি-আমেরিকান ছিল, যা ইসরায়েলজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।