প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশেষ করে খাদ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। বৃষ্টির কারণে আলুর বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে। উৎপাদনমুখী হলে খাদ্যের কোনো অভাব হবে না এবং বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল আমরা বাজেট উপস্থাপন করেছি, যা বিএনপির আমলে ছিল মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট। সেখানে আমরা ৭ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছি। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, দেশীয় শিল্প এবং সামাজিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যা মানুষের জীবন উন্নত করবে এবং নিশ্চয়তা দেবে। কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে এবং বাংলাদেশও সেই মন্দার মধ্যে পড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং স্যাংশনের ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করা। রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা অনেক অর্থ ব্যয় করেছি। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এবং টেস্ট সরবরাহ করেছে। চিকিৎসার জন্যও বিনামূল্যে ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ডাক্তারদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হয়েছে। গমের দাম বৃদ্ধির পরেও ৬০০ ডলারে গম কিনে আনা হয়েছে, এবং ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে।
কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করলে কেউ ট্যাক্স দেবে না এমন ধারণা সঠিক নয়। জমির দাম বৃদ্ধির ফলে জমি বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা অর্জিত হয়, যা সরকারী হিসাবের বাইরে থাকে। আমরা এমন ব্যবস্থা করতে চাই যাতে তারা সামান্য কিছু ট্যাক্স দিয়ে সেই অর্থ সাদা করতে পারে।