আয়নাঘর ঘুরে যা বললো গুম কমিশন

মাত্র ১৩ কার্যদিবসে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কাছে ৪০০টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশন ইতোমধ্যে আলোচিত বিভিন্ন বন্দিশালা, বিশেষ করে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছে এবং ভুক্তভোগীদের বর্ণনার সঙ্গে কিছু মিলে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। তবে কমিশন অভিযোগ করেছে, প্রমাণ লোপাট ও বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে গুম সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। কমিশনের সভাপতি, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আয়নাঘরগুলোতে বিভিন্ন পরিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেওয়াল রঙ করা হয়েছে এবং কয়েকটি কক্ষ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

কমিশন আয়নাঘরে সকল ধরনের পরিবর্তন স্থগিত করার জন্য লিখিত নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্তদের তলব করে এসব পরিবর্তন ও প্রমাণ লোপাটের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। গুমের সাথে জড়িত যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “আমরা যে বর্ণনাগুলো পেয়েছি, সেই অনুযায়ী অনেক সেল আর নেই। কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে, আর কিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে।”

এই কমিশন ৬ আগস্ট ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া গুমের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল, যা বর্ধিত করে ১০ অক্টোবর করা হয়েছে।