শিরোনাম

নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানালো ছাত্রলীগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ একটি বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে এই সিদ্ধান্তকে ষড়যন্ত্রমূলক এবং উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এছাড়া, সংগঠনটি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং দেশবিরোধী উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রলীগ দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক আন্দোলন ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে জনগণের বিভিন্ন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা অপরিহার্য ছিল।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সংগঠনটি এটিকে একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেয়। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি স্বার্থান্বেষী মহল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতায় ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করেছিল।

বিবৃতিতে ছাত্রলীগ আরও দাবি করে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক ব্যর্থতা আড়াল করতে ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, টেন্ডারবাজি ও সিট বাণিজ্য। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) অনুযায়ী, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।