গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫৫০ ছাড়িয়ে গেছে এবং আহত হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার (৯ নভেম্বর) গাজার আল আকসা হাসপাতালে অবস্থিত একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায়। দেইর আল বালাহ এলাকায় অবস্থিত এ আশ্রয় শিবিরে নেতানিয়াহুর বাহিনী হেলিকপ্টার হামলা চালায়, এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হয়।
গত ছয় মাসে গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ শিশু এবং ২৬ শতাংশ নারী। বেশিরভাগেরই বয়স পাঁচ থেকে নয় বছরের মধ্যে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইসরাইলের এ ধরনের হামলা এত বিশাল প্রাণহানির অন্যতম কারণ।
এদিকে ইসরাইলের চলমান আক্রমণের প্রেক্ষাপটে কাতার গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাতার ইসরাইল ও হামাসের উভয় পক্ষকেই জানিয়েছে, যতদিন না তারা আন্তরিকভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হবে, ততদিন দোহা এ বিষয়ে আর মধ্যস্থতা করবে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কাতারকে হামাস নেতাদের আর আশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাতার হামাসকে দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছে। সিএনএন আরও জানায়, ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কাতার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে শনিবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, হামাসের কার্যালয় বন্ধের বিষয়ে প্রচারিত খবরগুলো সঠিক নয়। হামাসের কর্মকর্তারাও দোহায় তাদের কার্যালয় বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।