টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রবর্তিত ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ যুক্ত হচ্ছে। সরকার ও নীতি-নির্ধারকরা বিশ্বাস করেন, এই তত্ত্বের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন আরও সহজ হবে।
থ্রি জিরো তত্ত্ব কী?
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার একটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক মডেল। এটি আর্থিক স্বাধীনতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে স্বীকৃত।
তত্ত্বের তিনটি মূল লক্ষ্য:
এসডিজির সঙ্গে যুক্তকরণ:
সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে চলমান কর্মশালায় থ্রি জিরো তত্ত্ব অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ জানিয়েছেন, তত্ত্বটি চাপিয়ে না দিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪,৬০০টি থ্রি জিরো ক্লাব কাজ করছে, যা মূলত ড. ইউনূসের নতুন সভ্যতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত। এই ক্লাবগুলোর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক।
ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি:
ড. ইউনূসের মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোই দারিদ্র্য সৃষ্টি করে, যা শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা ও উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে।”
সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে ড. ইউনূস তার থ্রি জিরো তত্ত্বকে তুলে ধরে বলেছেন, “এই তত্ত্ব প্রয়োগের মাধ্যমে এক নতুন সভ্যতা গড়ে তোলা সম্ভব, যা সবার জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য হবে।”
‘থ্রি জিরো পারসন’ ধারণা:
ড. ইউনূসের মতে, একজন থ্রি জিরো পারসন হবে:
এই তত্ত্বের মাধ্যমে দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং পরিবেশ দূষণ দূর করে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।