পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তার সমর্থকরা ইসলামাবাদে বিক্ষোভের আয়োজন করার চেষ্টা করেছিল, তবে সরকার সেখানে লকডাউন জারি করে বিক্ষোভ দমন করতে চেষ্টা করেছে।
ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও তার সমর্থকদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং তার সহযোগীরা নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছেন, তাই তাদের পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া, ইমরানসহ পিটিআই দলের বন্দী নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, পুলিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হাজার হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে দলের পাঁচ পার্লামেন্ট সদস্যও রয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসলামাবাদে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এবং পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ইসলামাবাদে আসা সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
লাহোরেও পিটিআই দলের বহু কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের সমাবেশ বা জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর একটি ভিডিওবার্তায় বলেছেন, মানুষ যেন শহরের ডি চকে সমবেত হয় এবং ইমরান খানের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে। এই নির্দেশ ইমরান খান নিজেই দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
অক্টোবর মাসেও পুলিশ ইসলামাবাদে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছিল, তখন সহিংসতা সৃষ্টি হলে এক পুলিশকর্মী নিহত হন এবং অনেক নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তুলেছে। পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ছিল গোলযোগ সৃষ্টি করা, অন্যদিকে পিটিআই নেতারা দাবি করেন, ইমরান খানকে অন্যায়ভাবে জেলে বন্দি করা হয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। ২০২৩ সাল থেকে তিনি জেলে বন্দি রয়েছেন, এবং আদালত তার তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অন্যান্য অভিযোগে প্রায় ১৫০টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তবে পাকিস্তানে তিনি খুবই জনপ্রিয়। তার সমর্থকরা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসে ইমরান খানের জামিন granted হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি এখনও মুক্তি পাননি। ইমরান খানের দাবি, তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।