বিএনপির সাহসী অবস্থানের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “এমন বোল্ড অ্যান্ড লাউড স্ট্যান্ড নেওয়ার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ।”
এর আগে দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেখানে তিনি বলেন, “পতিত আওয়ামী লীগ সরকার যখন জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিল, তখন বিএনপি তার প্রতিবাদ করেছিল। আমরা আশা করব অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত যেন গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যে ফাটল ধরার কারণ না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং গণতান্ত্রিক ঐক্য বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের দায়িত্বশীল আচরণ জনগণের আস্থার ভিত্তি গড়ে তুলবে।”
রিজভী অভিযোগ করেন, “ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মুখে কুখ্যাত গণতন্ত্রের ঘাতক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের কিছু রাজনৈতিক দল এবং গোয়েন্দা সংস্থা সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর আক্রমণ এবং ভারতের ভেতর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর দমন-পীড়ন তারই উদাহরণ। অথচ ভয়েস অব আমেরিকার (VOA) সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৪.১ শতাংশ এই মতামত দিয়েছেন।”
রিজভী অভিযোগ করেন, ভারতে মুসলিম ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন প্রতিদিন বাড়ছে। মুসলমানদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া, খুন, এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।