বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “দেশকে পুনর্গঠনের জন্য বিএনপির একার পক্ষে সম্ভব নয়। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটি সমন্বিত সরকার গঠন করতে হবে। আন্দোলনরত দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আমরা যেমন সফল হয়েছি, তেমনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশ পুনর্গঠনে কাজ করতে চাই।”
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি।
কর্মশালার বক্তব্যের মূল বিষয়:
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির একক আন্দোলন অতীতে সফল হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী শ্রেণির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আন্দোলন সফল হয়েছে এবং স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, “দেশকে পুনর্গঠনের জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিএনপি একা নয়, বরং সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী এবং সাধারণ মানুষকে একত্রিত করেই দেশ পুনর্গঠন সম্ভব হবে।”
জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব:
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত সরকার গঠন করবে, যেখানে রাজনীতির বাইরের মানুষেরাও মতামত রাখার সুযোগ পাবেন।” তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। বিএনপি সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং সবাইকে সমান অধিকার প্রদান করবে।
বেকারত্ব দূরীকরণ ও কারিগরি শিক্ষা প্রসঙ্গে:
বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ২০ কোটির বেশি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “স্কুল পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে। দেশের বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
অবকাঠামো উন্নয়ন ও শহীদ স্মরণ:
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গণঅভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামোর নামকরণ করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা:
কর্মশালায় বক্তব্য দেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল। সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিএনপির মানবাধিকার কমিটির সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল। এছাড়া বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।