দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (এমসিডি) রাজধানীর সব স্কুলকে ‘অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের’ শনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের জন্মসনদ ইস্যু না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই নির্দেশের ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আম আদমি পার্টি (আপ) ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত করার পাশাপাশি দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ দখলদারদের জায়গা খালি করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর সেক্রেটারিয়েটের পক্ষ থেকে আদেশ পাওয়ার পর এমসিডি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
নির্দেশনার কার্যক্রম ও সময়সীমা
এমসিডির ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এ ছাড়া স্কুলগুলোতে ভর্তির সময় অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করার জন্য শিক্ষা বিভাগকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: আপ বনাম বিজেপি
এই নির্দেশনার ফলে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপির মধ্যে তর্কবিতর্ক চরম আকার ধারণ করেছে। আপ নেতা সঞ্জয় সিং অভিযোগ করেন, এই নির্দেশ পূর্বাঞ্চলীয় সম্প্রদায়কে হেয় করার একটি রাজনৈতিক কৌশল। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা বিশেষ করে বাকরওয়ালা অঞ্চলে কোথায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীরা বসবাস করেন তা ভালোভাবেই জানেন।”
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা বলেছেন, “পূর্বাঞ্চলীয়দের বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসী হিসেবে পরিচিত করার বিষয়টি সত্যি এবং এই অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ করা জরুরি।”
উত্তেজনার প্রভাব
এমসিডির এ সিদ্ধান্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির অভিবাসন নীতি এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই নির্দেশনা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যমূলক, যা ভোটের মাঠে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের অবস্থান শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।