২০১১ সালে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। বুধবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ফেলানীর ভাই-বোনের পড়াশোনা ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা। সেই সঙ্গে পোস্টে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ফেলানীর মা-বাবা এবং ভাইয়ের সঙ্গে তিনি উপস্থিত রয়েছেন।
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ফেলানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম নতুন সরকারের প্রতি এই হত্যার সঠিক বিচারের আহ্বান জানান।
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, “আমার মেয়ে তিন ঘণ্টা জীবিত ছিল, কিন্তু কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি। আমার মেয়ের মতো যেন আর কোনো সন্তানকে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকতে না হয়। আগের সরকার যদি বিচারের উদ্যোগ নিত, তাহলে হয়তো এমন ঘটনা আর ঘটত না। আমি আশা করি, নতুন সরকার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার সঠিকভাবে করবে এবং ভারতকে কোনোভাবেই ছাড় দেবে না।”
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ১৪ বছর বয়সী ফেলানীর মর্মান্তিক ছবি দেশ-বিদেশে আলোড়ন তোলে।