চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য আনতে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, পেঁয়াজের দাম ইতোমধ্যে কমেছে, এবং আশা করা হচ্ছে আলুর দামও শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। বাজারে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত সরবরাহে কোনো কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সভায় বাজার পরিস্থিতি, টিসিবির কার্যক্রম এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের পরিস্থিতি উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ডিও ও এসও বিক্রির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাজারে স্বাভাবিক লেনদেনে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, “লেনদেনের সনাতন কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা আনতে হবে। পাইকারি থেকে খুচরা সব স্তরে ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। শুধু ডিও বিক্রি করে লাভবান হওয়ার প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসতে হবে।”
টিসিবির কার্যক্রম প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে টিসিবি ট্রাকে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা শিগগিরই ৪০০ জনে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, “বাজারে পুরোপুরি স্বস্তি না আসা পর্যন্ত টিসিবি কার্যক্রম চলবে।”
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক এবং জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টার মতে, বাজারে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং উৎপাদন বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টিসিবির সম্প্রসারিত কার্যক্রম এবং বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।
No tags found for this post.