শিরোনাম

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় এবং হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অংশ নেন। শুনানি শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, রোববার (২২ জুন) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৯ সালে তৎকালীন সামরিক বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এবং এরপর প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটানো হয়। এরপর ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা ও তার সরকার অবৈধভাবে শপথ নেন এবং দমনমূলক নীতির মাধ্যমে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিপীড়ন শুরু হয়।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য দল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি। বরং, অভিযোগ অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের কর্মীদের দিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা, ভয়ভীতি, মামলা ও বাধা প্রদান করা হয়। নির্বাচনের আগেই অনেক কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয় এবং দিনে ভোট গ্রহণের নামে অনিয়মের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে থেকে নুরুল হুদা এই অনিয়মে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন এবং ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেন।

একই পদ্ধতিতে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নুরুল হুদার প্রত্যক্ষ মদদে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল ও অন্যান্যদের মাধ্যমে আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা আওয়ামী লীগের বিজয়ে শেষ হয়।

মামলায় এসব ঘটনাকে সংবিধান পরিপন্থী ও জনমতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।