ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পান তারা। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে, রাত ১টা ৫৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ পর্যন্ত ১৯টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করেছে, এর মধ্যে ১০টি সরাসরি কাজ করেছে।
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। আমরা প্রত্যেক কক্ষ তল্লাশি করে আগুন নেভাচ্ছি। ৬, ৭, ৮ এবং ৯ তলায় আগুনের তীব্রতা বেশি ছিল। আমরা আশা করছি, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হবে।”
অগ্নি নির্বাপণের সময় ফায়ার সার্ভিসকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বড় গাড়ি সচিবালয়ে প্রবেশ করানো কঠিন ছিল বলে উল্লেখ করেন ডিজি। তিনি জানান, “সচিবালয়ের সামনের গেট ভেঙে দুটি গাড়ি প্রবেশ করানো হয়েছে। এতে দেরি হলেও আমাদের ফায়ার ফাইটাররা দ্রুত তৎপর হয়েছে।”
এই অগ্নিকাণ্ডে এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। প্রথম পর্যায়ে পানির পাইপের সংযোগ দেওয়ার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের আঘাতে একজন ফায়ার ফাইটার গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের ৬ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত আগুনের শিকার হয়। এই ভবনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং সড়ক পরিবহন সেতু বিভাগ রয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্ত শেষে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।