শিরোনাম

কলকাতা মিশনে ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে ঢাকা ভারতের নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দেওয়া হলেও ৫ ডিসেম্বর গোপন এক দাপ্তরিক চিঠিতে কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনকে ভারতীয় নাগরিকদের ঢালাওভাবে ভিসা দেওয়ার নীতিতে পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়।

শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে, যা ভারতের নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

ত্রিপুরা দূতাবাসে হামলা এবং কার্যক্রম স্থগিত

সম্প্রতি ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের পর ত্রিপুরায় সব ধরনের কূটনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে দিল্লি ও আসামের দূতাবাসে ভিসা প্রদানের বিষয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ও ত্রিপুরার পরিস্থিতি বিবেচনায় দিল্লি ও আসামের দূতাবাসেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

হাইকমিশনারদের ডাকা হলো ঢাকায়

ত্রিপুরার অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ এবং কলকাতার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মো. আশরাফুল রহমানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা ঢাকায় ফিরে যোগদান করেন।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপট

শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার ভারতে অবস্থান গ্রহণের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। সংখ্যালঘু ইস্যু ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে।

ইসকন নেতা গ্রেপ্তার এবং ত্রিপুরার ঘটনার প্রভাব

ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করা এবং তার প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। এর মধ্যে, ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা কূটনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে।

হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায়। অন্যদিকে ভারত দুঃখপ্রকাশ করে এবং হামলায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে তিনজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে।

সামনের চ্যালেঞ্জ

দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের এই উত্তেজনা ভবিষ্যতে আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করা সম্ভব।