অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় আরও অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জনের বেশি। এই নতুন হামলার ফলে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৫৪ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।
তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে চালানো হামলায় ৪ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫৪ হাজার ৪৭০ জনে।
সর্বশেষ এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৫২টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৫০৩ জন। এ নিয়ে আহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৯৩ জনে। তবে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকে রয়েছেন, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের চুক্তি কার্যকর হলেও ১৮ মার্চ সেই চুক্তি বাতিল করে ইসরায়েল নতুন করে বিমান ও স্থলপথে হামলা শুরু করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এসব আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ২০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১২ হাজার ৬৫২ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ জানায়, চলমান আক্রমণের ফলে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ওই অঞ্চলের অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়াও, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের কারণে দেশটিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে।