আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে আরও ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, চলমান ঋণ কর্মসূচির অধীনে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
আইএমএফের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে এবং অর্থনৈতিক সহায়তার প্রয়োজন দিন দিন বাড়ছে। ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছানো সংস্থাটির একটি দল চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে।
আইএমএফ দলের প্রধান ক্রিস পাপজর্জিও জানান, সফরের শেষ দিনে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তবে, আইএমএফ নির্বাহী বোর্ড সরকারের পূর্বে নেওয়া সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২৫ অর্থবছরে কমে ৩.৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। গণআন্দোলন, বন্যা এবং কঠোর নীতির প্রভাবের কারণে এ অবস্থা হতে পারে। তবে ২০২৬ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান চাপ এবং ধীর অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।
এর আগে, গত জুনে বাংলাদেশকে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল আইএমএফ। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সংস্থাটি ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়, যা মোট সাত কিস্তিতে প্রদান করা হবে।
আইএমএফের ঋণ পেতে বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু সংস্কার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে এসব শর্তের কিছু বাস্তবায়ন করেছে।
আইএমএফের মতে, বাংলাদেশ যদি অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এই ঋণ কর্মসূচি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।