শিরোনাম

তুরস্কের আলোচিত বায়রাক্তার ড্রোন কিনছে ইন্দোনেশিয়া

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৫ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কারের তৈরি বায়রাক্তার ড্রোন কিনছে ইন্দোনেশিয়া। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ইন্দোনেশিয়া সফরের সময় এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়।

তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে এরদোয়ান প্রথমে মালয়েশিয়া সফর করেন। এরপর ইন্দোনেশিয়া সফর শেষে বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এরদোয়ানের ইন্দোনেশিয়া সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে সামরিক ড্রোন ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তিটি অন্যতম। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোয়ো সুবিয়ান্তোর উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন বায়কারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হালুক বায়রাকতার ও ইন্দোনেশিয়ার রিপাবলিকর্পের প্রতিষ্ঠাতা নরম্যান জোসেফ।

এই চুক্তির আওতায় ইন্দোনেশিয়া তুরস্ক থেকে ৬০টি বায়রাক্তার টিবি৩ এবং ৯টি আকিনসি সামরিক ড্রোন সংগ্রহ করবে। বায়রাক্তার টিবি৩ হলো বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের উন্নত সংস্করণ, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এর আগেও ইন্দোনেশিয়া তুরস্কের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কিনেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর নেতৃত্বাধীন সরকার তার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তির আওতায় ৩২ মাসের মধ্যে ইন্দোনেশিয়াকে ১২টি আঙ্কা সামরিক ড্রোন সরবরাহের কথা রয়েছে।

বায়রাক্তার টিবি৩-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এর ডানার কাঠামো ভাঁজযোগ্য, ফলে এটি স্বল্প-রানওয়ের জাহাজ থেকেও উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারে। অন্যদিকে, আকিনসি ড্রোন উচ্চ মাত্রার সহনশীলতা, দীর্ঘ সময় আকাশে থাকার সক্ষমতা এবং বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র বহনের কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়াও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ডসহ নানা জরুরি পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রেও এসব ড্রোন ব্যবহারের নজির রয়েছে। বায়কারের দাবি, আকিনসি বিশ্বের একমাত্র ড্রোন যা ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

২০২০ সালে নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধের সময় আজারবাইজানের সেনাবাহিনী তুরস্কের তৈরি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ব্যবহার করে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করে। একইভাবে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে এই ড্রোন ব্যবহার করে আসছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতেও যুক্ত হয়েছে বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন।