ফোরদো ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি। এছাড়াও নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান নামের আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে দেশটিতে। এই তিনটি কেন্দ্রে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরানও এ হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে।
ইরান এই হামলাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, বিশেষ করে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির (NPT) পরিপন্থী। এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
হামলার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-কে আংশিকভাবে দায়ী করছে তেহরান। তাদের মতে, আইএইএ’র ‘নীরবতা’ কিংবা ‘অবহেলা’র সুযোগেই এ ধরনের হামলা সম্ভব হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইরানের পারমাণবিক সংস্থা জানিয়েছে, শত্রুর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও দেশের বিপ্লবী বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় পরমাণু উন্নয়নের পথ থেমে থাকবে না। পারমাণবিক শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এ শিল্প এগিয়ে যাবে।
স্থানীয় সময় রোববার (২২ জুন) ভোরে এ হামলা চালানো হয়। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে সফলভাবে হামলা চালিয়েছি। বর্তমানে আমাদের সব বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।”
হামলার পরে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা দেশটির একটি সম্প্রচার মাধ্যমের কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, হামলার লক্ষ্যবস্তু তিনটি স্থাপনায় এমন কিছু ছিল না যা থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরান আগেই ওইসব কেন্দ্র থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিল।